অনিবার্য

আমায় তেমন কেউ পছন্দ করে না। নিজের থেকে দূরে সরিয়ে দেয় সবাই। নির্দিষ্ট কোনো ঠিকানাও নেই আমার।
কী করা যায় বলুন তো? আমার এই অবস্থার জন্য কি শুধু আমি দায়ী? 

প্রকৃতির নিয়মে সব কিছুর একটা মেয়াদ থাকে। একটা ভাবনা, একটা গল্প, একটা রাজত্ব, একটা যুগ, আরো কত কিছু। সময়ের স্রোতে ভেসে সেই একই রকম নতুন তো থাকা যায় না। এককালে বেশ যত্ন সহকারে আমায় ব্যবহার করা হত। বেশ কদর ছিল আমার। হঠাৎ একজনের হাতের মুঠোয় আঘাত পাই। সেই ছোট্ট আঘাতের ক্ষতিপূরণ আজও হয়নি। 

আমি সেই সবুজ রঙের ৫ টাকার ছেঁড়া নোট।
আমায় নিয়ে বাস কন্ডাক্টর আর প্যাসেঞ্জারের মাঝে তুমূল ঝগড়া বেধে যায়। কোনোভাবে আমায় এড়িয়ে যেতে পারলেই ভালো হয় ওদের। এই ধরুন আজকের সকালের ঘটনা; এস ৯ এর কন্ডাক্টর আমায় গছিয়ে দিচ্ছিল এক মহিলাকে। কিন্তু ওই ভিড় বাসের মধ্যেও ঠিক ধরে ফেলেছে আমায়। আবার আমায় ফেরত দিয়ে দিলেন উনি ওই কন্ডাক্টর এর কাছে। এই নিয়ে গত সাত দিনে আমার ৫১তম রিজেকশন এটা।

দাম হয়ত একই রয়ে গেছে। কিন্তু বিকল্প অনুযায়ী সবার শেষের দিকে থাকি। তাও নিজের এই পরিচয় ধরে আঁকড়ে বেঁচে থাকার ইচ্ছে আছে। আমার হয়তো ক্ষয় হয়েছে, কিন্তু কাজটা একই রয়ে গেছে।



- শতরূপা উপাধ্যায়

Post a Comment

0 Comments